উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিকাশ সাধন। জ্ঞান আহরণের প্রবল আগ্রহ আগ্রতকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাজরাষ্ট্রের যে কোন সংকটে টেকসই সমাধানে উদ্বুদ্ধ করা। সর্বোপরি শিক্ষার্থীর মানবিকসুকুমার বৃত্তির যথাযথ বিকাশ সাধনের পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ উদ্ভাসিত নৈতিক ও কর্মমূখি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানসিক ও বৈষয়িক সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ উন্নয়ন ঘটিয়ে কর্মোপযোগী দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে বিশ্বায়ণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাই ‘জাস্টিশিয়া ল’ ক্লাব’ এর মূল লক্ষ্য।
আইন বিভাগকে আরো গতিশীল ও যুগোপযোগী করার নিমিত্তে আইন বিভাগ ‘জাস্টিশিয়া ল’ ক্লাব’ এর মাধ্যমে নিম্নলিখিত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে-
১) সারা বিশ্বের এক নম্বর চাহিদাসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার বিষয় হলো আইন। নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ ক্রম অগ্রতিশীল এবং দূরদর্শী। শিক্ষার্থীবৃন্দকে যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি অত্র বিভাগ তাদের ক্যারিয়ারমুখী করণের লক্ষ্যে নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এর ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।
২) ইতোমধ্যে আইনী জগতের সাথে জড়িত ক্যারিয়ার পরিকল্পনা বিষয়ে প্রতি সপ্তাহে জাস্টিশিয়া ল’ ক্লাবের উদ্যোগে ক্যারিয়ার আলোচনা ও দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। আগামীতে এটির পরিধি আরও ব্যাপকতর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৩) বিভাগের উদ্যোগে বর্তমানে চলমান মুট কোর্ট এর ব্যবহারিক কার্যক্রমকে আরও অধিক ফলপ্রসূ করণের নিমিত্তে আগামী সেমিস্টার হতে মুটিং ফেস্ট প্রোগ্রামের উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
৪) হেনরী ডুনান্ট মুট কোর্ট কম্পিটিশন ও হিউম্যান রাইটস সামার স্কুলের মতো আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামগুলোতে টিম পাঠানোর যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
৫) রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে ফেলোশীপ ও ইন্টার্নি হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রেরণের বিষয়ে যাবতীয় দিক-নির্দেশনা ও সহযোগিতা করা হবে।
৬) বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষাগুলোতে বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দের ভালো ফলাফল নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
৭) প্রতি সেমিস্টারে একটি করে ‘লিগ্যাল ডিবেট’ প্রোগ্রাম আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
৮) বিভাগের শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে স্টুডেন্ট কনসালটেশনের বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করে ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দের সক্রিয়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সম্মেলন করা হবে।