সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র

উত্তরবঙ্গের অন্যতম উচ্চবিদ্যাপীঠ নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের একটি গৌরবোজ্জ্বল সংগঠন ‘সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’। ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা, লালন-পালন ও বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। এই মহৎ উদ্যোগটি গ্রহণ করেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক রাশেদা খালেক। বর্তমানে তিনি সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। শুরু থেকে এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল খালেক (প্রধান পৃষ্ঠপোষক), মাননীয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহম্মদ আবদুল জলিল (উপদেষ্টা), সম্মানিত চিফ কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. পি.এম. সফিকুল ইসলাম (সহ-সভাপতি) সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. নূরে এলিস আকতার জাহান

সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গগুলো উদযাপন করে আসছে। সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ঈদ পুনর্মিলনী, রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী, লালন ফকিরের প্রয়াণ দিবস স্মরণ, গুণি-সম্মাননা প্রদান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা পুরস্কার প্রদান প্রভৃতি।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:

ক) সংগঠনটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে সংগঠনটির সদস্যদের সমন্বিত পরিকল্পনা, সমান দায়বদ্ধতার মাধ্যমে সর্বস্তরে শুদ্ধ বাংলা ভাষা প্রচলনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
খ) নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সদস্যবর্গের মধ্যে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, সুশৃঙ্খলা, সম্প্রীতি এবং ঐক্যবদ্ধ মনোভাব বৃদ্ধি করা।
গ) শুদ্ধ বাংলা ভাষা প্রয়োগে সমস্যা নিরসন ও স্বার্থোন্নয়নের সহযোগিতা করা।
ঘ) সংগঠনটির কোন স্বার্থ-পরিপন্থী অবস্থার সৃষ্টি হলে, সমষ্টিগতভাবে তা নিরসনের ব্যবস্থা করা।
ঙ) সংগঠনটির বা এর কোন সদস্যের কল্যাণার্থে বা জনসেবায় বা সামাজিক মর্যাদাবর্ধক কর্মসূচি প্রবর্তন করা।
চ) বিশেষ প্রয়োজনে সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা।
ছ) দেশি বা আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী কাজে অংশগ্রহণ করা, বাংলা ভাষার মান দেশি বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া।
জ) নিয়মিত গ্রন্থ প্রকাশনা করা।